coinpayu

Thursday, July 12, 2018

বিস্ময়ে ভরা প্রকৃতি (Part-3)

পানির নিচে নীল গহ্বর

মনে করো তুমি একটা বড় নদী বা সাগফরের বুকে স্পিডবোট নিয়ে আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছ হঠাৎ স্পিডবোটটা একটা নিল গর্তের উপর এসে পড়লো। কেমন লাগবে তখন? হ্যা, পানির নিচে এরকম আজগুবি গর্ত মাঝে মাঝে দেখা যায়। সাগরের পানির নিচে হঠাৎ বিশাল আকৃতির শত শত ফুট  গভীর বৃত্তাকার  গর্ত দেখা যায়। এসব গর্তের পানির রঙ হয় গাঢ় নীল। বিশেষ করে উপর থেকে দেখলে পাশের পানির তুলনায় গর্তের পানির রঙ নিল দেখায়। এজন্য এসব গর্তকে বলা হয় ব্লু হোল বা নীল গহ্বর। এসব গহব্বর গভীর হলে কি হবে, সেখানেও সমুদ্রচারী ডুবুরিরা নেমে দেখেছেন যে তার ভেতরে কি আছে ? তারা দেখেছেন যে সে সব গহব্বর অক্সিজেন শুন্য, পানির সঞ্চালন হয় খুব কম। কেন এ রকম হয় তা আজও রহস্যাবৃত। অবশ্য কিছু কিছু নীল গহব্বরে প্রাগৈতিহাসিক কালের কিছু জীবাশ্মের সন্ধান মিলতে পারে বলে বিজ্ঞানীদের ধারনা।
আমাদের আরো নিত্ত নতুন আপডেট পেটে Visit করুন আমাদের ফেসবুক পেইজ অজানা কিছুতে। ধন্যবাদ আপনাকে!!!

Thursday, June 28, 2018

বিশ্ময়ে ভরা প্রকৃতি( Part-2)

পাথরের প্রাকৃতিক স্তম্ভ


পাথরের আকৃতি হয় আসম, গোল, লম্বা, ডিমের মতো। কিন্তু পৃথিবীতে এমন কিছু পাথর পাওয়া গেছে যেগুলো আসম আকারের নয়, অদ্ভুত জ্যামিতিক আকৃতি ও নকশা বিশিষ্ট। আগ্নেয়গিরির পুরু ও উত্তপ্ত লাভাস্রোত যখন ঠান্ডা হতে শুরু করে তখন তা ভুমির সাথে সমান্তরাল তথা আনুভূমিকভাবে জমাট বাধে। কিন্তু যখন ফাটে তখন তা উলম্বভাবে ফাটে এরূপ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই  লাভাজমা পাথরগুলো তখন নিয়ত জ্যামিতিক নকশায় সুষম ষড়ভূজাকৃতি ধারণ করে। সেগুলো দেখে মনে হয় কোন মানুষ  বোধ হয় পাথর কেটে সেগুলো সুন্দর করে তৈরি করে রেখেছে। ষড়ভূজি সেসব পাথরখন্ডকে মনে হয় মানুষ্যনির্মিত কোন পাথরের মসৃণ স্তম্ভ। আয়ারলেন্ডের উপকূল জুরে এরূপ পাথরের একটি বিশাল স্তুপ রয়েছে যার নাম জায়ান্ট কজওয়ে। যার অর্থ হচ্ছে দৈত্যের বাধানো পাথর। তবে এধরণের পাথরের সবচেয়ে বড় বা বৃহত্তম স্তূপটি হলো উয়োমিংয়ের দেভিলস টাওয়ার। এরকম আরো পোস্ট পেতে আমাদের পেজে ভিজিট করুন।
আমাদের পেজঃ- অজানা কিছু


Monday, June 25, 2018

Oporadhi।Cover By Charpoka। Arman Alif । 720p HDAmarmon Com

Friday, May 11, 2018

বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে কি করবেন দেখে নিন


১. উঁচু গাছপালা বা বিদ্যুতের খুঁটিতে বজ্রপাত হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তাই এসব স্থানে আশ্রয় নেওয়া যাবে না। উঁচু গাছ থেকে কমপক্ষে চার মিটার দূরে অবস্থান করতে হবে। তবে নিকটবর্তী পাকা দালানের নিচে আশ্রয় নেওয়াই শ্রেয়।
২. ধানক্ষেত বা খোলা মাঠে থাকলে তাড়াতাড়ি কানে আঙুল দিয়ে নিচু হয়ে বসে চোখ বন্ধ রাখতে হবে। তবে কোনো অবস্থায়ই মাটিতে শুয়ে পড়া যাবে না। কারণ মাটিতে শুয়ে পড়লে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৩. খোলা মাঠ, বাড়ির ছাদ বা উঁচু কোনো স্থান থেকে দূরে থাকতে হবে। গবাদি পশুকে খোলা মাঠে রাখা যাবে না।


৪. বজ্রপাতের সময় ঘরের বারান্দা ও জানালার কাছাকাছি থাকা যাবে না। জানালা বন্ধ রেখে ঘরের ভেতরে অবস্থান করতে হবে। এ সময় বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ থেকে বিরত থাকতে হবে; এমনকি ল্যান্ডফোনও স্পর্শ করা যাবে না।
৫. বজ্রপাতের সময় বিদ্যুৎ চালিত যন্ত্রের ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। বৈদ্যুতিক সংযোগযুক্ত সব যন্ত্রপাতি, বিশেষ করে টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি বন্ধ করা থাকলেও স্পর্শ করা যাবে না। বজ্রপাতের আভাস পেলে প্লাগ খুলে বিদ্যুৎ সংযোগ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। অব্যবহৃত যন্ত্রপাতির প্লাগ আগেই খুলে রাখতে হবে।
৬. বজ্রপাতের সময় গাড়ির ভেতরে থাকলে কোনো কংক্রিটের ছাউনির নিচে দ্রুত পার্ক করা উচিত এবং গাড়ির ভেতরের ধাতব বস্তু স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।


৭. বজ্রপাতের সময় নদী বা জলাশয় থেকে মাছ ধরা বন্ধ রাখতে হবে এবং জলাশয় বা জলাবদ্ধ স্থান থেকে দূরে সরে যেতে হবে। কারণ পানি বিদ্যুৎ পরিবাহী। নৌকায় অবস্থান করলে দ্রুত ছইয়ের নিচে অবস্থান নিতে হবে। নৌকায় ছই না থাকলে নিচু হয়ে পাটাতনে অবস্থান নিতে হবে।
৮. বজ্রপাতের সময় চামড়ার ভেজা জুতা বা খালি পায়ে থাকা খুবই বিপজ্জনক। এ সময় বিদ্যুৎ অপরিবাহী রাবারের জুতা সবচেয়ে নিরাপদ।
৯. লোকালয় থেকে দূরে উন্মুক্ত কোনো স্থানে বাড়ি বানানো যাবে না। বাড়ি থেকে নিরাপদ দূরত্বে তাল, নারিকেল, সুপারিগাছ লাগানো উচিত।
১০. বাড়িকে নিরাপদ রাখতে বজ্রনিরোধক যন্ত্র লাগাতে হবে এবং সেই সঙ্গে আর্থিংয়ের ব্যবস্থা রাখতে হবে।


১১. বজ্রপাতে আহত কাউকে বৈদ্যুতিক শকে আহতদের মতোই চিকিৎসা করাতে হবে। দ্রুত চিকিৎসকের কাছে বা হাসপাতালে নিতে হবে। সেই সঙ্গে আহত ব্যক্তির শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃত্স্পন্দন ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণেই মূলত এমন অস্বাভাবিক বজ্রপাতের ঘটনা বেশি ঘটছে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে বজ্রপাতে প্রাণহানির ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বজ্রপাতের বেশির ভাগ শিকারই প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষক, শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। বাংলাদেশের আকাশে সাধারণত মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত বজ্রমেঘ দেখা যায়। তাই বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনার জন্য বনায়ন সৃষ্টির পাশাপাশি প্রান্তিক পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টি সবচেয়ে জরুরি।
লেখক : গবেষক ও পরিবেশবিজ্ঞানী, জাইকা হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট টেলিভিশন৷


স্যামসাং ঠিক কত বড়? জানেন কি??

স্যামসাং কোম্পানি ঠিক
কত বড়?
↘️ স্যামসাংয়ের ৪০
কোটি বর্গফুটের একটি
জাহাজ নির্মাণকেন্দ্র
আছে। অন্যভাবে বললে যা
গড়পড়তা ৫ হাজার ২০৪টি
ফুটবল মাঠের সমান।
↘️ পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু দালান
বুর্জ আল খলিফা নির্মাণ
করেছে স্যামসাং। এমন
অনেক শিল্পের সঙ্গে জড়িত
এই প্রতিষ্ঠান ।
↘️ সংখ্যায়
স্যামসাং ৩০ হাজার ৫০০
কোটি ডলার ২০১৪ সালে
মোট আয় ।
↘️ ১ হাজার ৪০০
কোটি ডলার ২০১৩ সালে শুধু
বিজ্ঞাপনে খরচ করেছে ।
↘️ ৪
লাখ ৮৯ হাজার কর্মী ।
অ্যাপল, গুগল ও
মাইক্রোসফটের সম্মিলিত
সংখ্যার চেয়েও বেশি ।
↘️ ১৭ শতাংশ দক্ষিণ
কোরিয়ার মোট
জিডিপিতে স্যামসাংয়ের
অংশ ।
↘️ ১ হাজার ৪১০ কোটি
ডলার ২০১৫ সালে গবেষণা ও
উন্নয়নে স্যামসাংয়ের ব্যয়
অন্যদিকে একই খাতে
অ্যাপলের ব্যয় ৬০০ কোটি
এবং গুগলের ব্যয় ৯৮০ কোটি
ডলার ।
↘️ প্রায় ৬০ কোটির
বেশি সিপিইউ চিপ
অ্যাপলের আইফোন ৪, ৪এস, ৫ ও
৫এস-এর সিপিইউ চিপ সরবরাহ
করেছে স্যামসাং ।

ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর কিছু মৃত্যুদণ্ডের পদ্ধতি


পূর্বে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরণের ভয়ংকর মৃত্যুদন্ডের নিয়ম প্রচলিত ছিল যা শুনলে বা দেখলে গা ছম ছম করে। আর এই পোস্টটি দুর্বল চিত্তের মানুষের জন্য নয়। বর্তমানে অনেক দেশেই মৃত্যুদন্ড উঠে গেছে। আর থাকলেও তা ফাঁসী, ইঞ্জেকশন আর ইলেকট্রিক চেয়ারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
১. সিদ্ধ করা
দুর্ভাগা ব্যাক্তি কে একটি জল ভর্তি পাত্রর মধ্যে রাখা হয়। কল্পনা করতে ছিল প্রথমে ঠান্ডা. তারপর একটি অগ্নি পাত্র নীচে দেয়ি হত যাতে পানি ধীরে ধীরে গরম হয় এবং বন্দী জিবন্ত সেদ্ধ হতে থাকে। এই ভাবে এক সময় সে মারা যেত।. শাস্তির এই পদ্ধতিটি প্রায় 500,000 বছর বয়সী এবং চর্চা হত প্রাচীন চীন এ। নিশ্চিত চীন কিছু পাশবিক শাস্তি আবিস্কার করেছিল এবং এটাও বলা হয় যে মৃত্যুদন্ড এই পদ্ধতি যুক্তরাজ্য বিদ্যমান ছিল 1500 শতক পর্যন্ত। জাপান,ফিজি,পাপুয়া নিউগিনিতেও এই শাস্তির তথ্য রয়েছে। এমনকি মোঘল আমলে ১৬৭৫ সালে সম্রাট আওরঙ্গজেবের আমাওলে ইসলাম না গ্রহণ করায় শিখ নেতা ভাই দয়ালাকে এভাবে হত্যা করা হয়।
এই মৃত্যুদন্ড এই পদ্ধতি যীশু খ্রীষ্টের অনুসরণ করে। একটি ক্রুশকাঠ এ বন্দি ব্যাক্তিকে পেরেক দিয়ে হাত পা কাঠের বা লোহার ক্রুশে দিয়ে উন্মুক্ত স্থানে ছেড়ে দিত। বেশির ভাগ সময় বন্দী সাধারণত রক্ত ঝরা থেকে মারা যেত। কোন কারনে যদি সে মারা না যেত তবে ক্ষুধা বা তৃষ্ণা দ্বারা মারা যেত। সে সমস্ত বন্দী ছিল ভাগ্যবান, সে শুধু তীব্র ঠান্ডা বা তাপ দ্বারা মারা যেত।

২.ক্রুসবিদ্ধ করা
এই মৃত্যুদন্ড এই পদ্ধতি যীশু খ্রীষ্টের অনুসরণ করে। একটি ক্রুশকাঠ এ বন্দি ব্যাক্তিকে পেরেক দিয়ে হাত পা কাঠের বা লোহার ক্রুশে দিয়ে উন্মুক্ত স্থানে ছেড়ে দিত। বেশির ভাগ সময় বন্দী সাধারণত রক্ত ঝরা থেকে মারা যেত। কোন কারনে যদি সে মারা না যেত তবে ক্ষুধা বা তৃষ্ণা দ্বারা মারা যেত। সে সমস্ত বন্দী ছিল ভাগ্যবান, সে শুধু তীব্র ঠান্ডা বা তাপ দ্বারা মারা যেত। ৩৫-৬০ কেজি ওজনের ক্রুসগুলি আসামীকে বয়ে নিয়ে যেতে হত। শুধু তাই নয় আরও লজ্জা দেয়ার জন্য নগ্ন করা হত। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে নির্দেশ না মানার জন্য ব্যারাকে সৈনিকদের এভাবে একদিন ঝুলিয়ে রাখার শাস্তি দেয়া হত।
৩.জীবন্ত চামড়া তুলে নেয়া
বর্তমান ইরাকের পূর্বসূরী আসেরীয়রা বা মেক্সিকোর এযটেকরাএই প্রথায় শাস্তি দিত।মধ্যযুগে ইংল্যান্ড আর ফ্রান্সেও এইধরনের শাস্তি দেয়া হত।মধ্যযুগে ১৩০০-১৪০০ সালের দিকে এই ধরনের রেওয়াজ ছিল। এর মত নিষ্ঠুর পদ্ধতি আমি আর শুনিনি । এটি বন্দিকে জীবন্ত রেখে ত্বকের সমগ্র শরীর থেকে চামড়া অপসারণ করা হত । এটি ছিল একটি প্রকাশ্যে মৃত্যুদন্ড প্রদান সার্বজনীন পদ্ধতি । মাঝে মাঝে ব্যাথার তীব্রতা বাড়ানোর জন্য লবণ মাখানো হত। এই ভাবে অশেষ যন্ত্রনা ভোগ করে বন্দি মারা যেত।
৪.বিশেষ বিশেষ অঙ্গ কর্তনের মাধ্যমে মৃত্যুদন্ড
এই পদ্ধতিতে দেহের প্রধান অঙ্গগুলি কাটা হত বিশেষ করে পেটের।জাপান,ইংল্যান্ড ,নেদারল্যান্ড, বেলজিয়ামে এই পদ্ধতি চালু ছিল। এটি ছিল সবচেয়ে গুরুতর শাস্তি । তখনকার দিনে চোর এবং ব্যভিচারে ছিল বেশি তাই এই শাস্তি প্রচলন হয়েছিল। ইংল্যান্ডে disembowelment বেশিরভাগই ছিল রেওয়াজ । এই শাস্তি হল অত্যাবশ্যক অঙ্গ আপনার শরীর থেকে এক এক করে ছুড়ি বা ধারালো কোন অস্ত্র দ্বারা অপসারণ করা হত বন্দি মারা না যাওয়া পর্যন্ত।
৫. বিশেষ চাকা
এই বিশেষ যন্ত্র ক্যাথরিন এর চাকা নামেও পরিচিত ছিল । এ পদ্ধতিতে বন্দি কে একটি বড় চাকার সাথে তার অঙ্গপ্রত্যঙ্গের প্রশস্ত ব্যবধানযুক্ত করে আবদ্ধ করা হত এবং তা ঘুরানোর সাথে সাথে অঙ্গ প্রসারিত হত। চাকা ঘোরানোর সময় একটা হাতুড়ি দিয়ে একজন ব্যক্তির শুধুমাত্র ব্যক্তির হাড় এ নিয়মিত বিরতিতে আঘাত করা হত । এই প্রক্রিয়ায় মৃত্যু সাধারণত খুব দীর্ঘ হত। সাধারণত একজন ব্যক্তির প্রতিটি অঙ্গ নষ্ট করা হত । এটা অবশ্যই একটি দীর্ঘ ও যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু। যদি সব বন্দি ছিল ভাগ্যবান যারা বুকে বা পেটে একটি সরাসরি ঘা গ্রহণ করে অবিলম্বে মৃত্যু বরন করত।

৬. বিদ্ধ
এ পদ্ধতিতে উলঙ্গ করে বন্দির হাত-পা বেঁধে তার পায়ু পথে সুচালো একটি দণ্ড ঢুকিয়ে তাকে তার উপর বসিয়ে দণ্ডটি খাঁড়া করে দেওয়া হতো। বন্দি তার নিজের শরীরের ভারে আস্তে আস্তে নিচের দিকে নেমে যেত। অনেক সময় খুঁটিটির মাথা সুচালো না করে ভোঁতা রাখা হত যাতে হৃৎপিণ্ড বা অন্যান্য প্রধান অঙ্গ বিদ্ধ হয়ে তাড়াতাড়ি মারা না যায়। এতে অপরাধী প্রচন্ড কষ্টে মারা যেত। এ পদ্ধতিতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে অনেক সময় লাগত এমনকি এক থেকে দু’দিন সময়ও লাগত।
৭. মাথা পিষ্ট
মৃত্যদণ্ড কার্যকর করার এই পদ্ধতি টি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় উদ্ভাবিত, সুদূর কোনো দেশের পদ্ধতি নয়। এ পদ্ধতিতে বিশাল আকৃতির হাতি তার পা দিয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির মাথা থেঁতলে দিতো। এক্ষেত্রে আবার হাতিকে প্রশিক্ষণ দেওয়া

Thursday, May 10, 2018

বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের কিছু তথ্য যা আপনাকে অবাক করবে!!!


অবশেষে মহাকাশে উৎক্ষেপণ হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু ওয়ান স্যাটেলাইট। চলুন জেনে নেয়া যাক এর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

#স্যাটেলাইটের_ধরণ:

মহাকাশে প্রায় ৫০টির উপর দেশের দুই হাজারের উপর স্যাটেলাইট বিদ্যমান। এগুলোর মধ্যে রয়েছে-আবহাওয়া স্যাটেলাইট, পর্যবেক্ষক স্যাটেলাইট, ন্যাভিগেশন স্যাটেলাইট ইত্যাদি। তবে বিএস-ওয়ান হল যোগাযোগ ও সম্প্রচার স্যাটেলাইট।

#কর্মপরিধি:

টিভি চ্যানেলগুলোর স্যাটেলাইট সেবা নিশ্চিত করাই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের প্রধান কাজ। এর সাহায্যে চালু করা যাবে ডিটিএইচ বা ডিরেক্ট টু হোম ডিশ সার্ভিস।

এছাড়া যেসব জায়গায় অপটিক কেবল বা সাবমেরিন কেবল পৌছায় নি সেসব জায়গায় এ স্যাটেলাইটের সাহায্যে নিশ্চিত হতে পারে ইন্টারনেট সংযোগ।

#স্যাটেলাইটের_ফুটপ্রিন্ট:

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের অবস্থান ১১৯.১ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমার কক্ষপথে। এর ফুটপ্রিন্ট বা কভারেজ হবে ইন্দোনেশিয়া থেকে তাজিকিস্তান পর্যন্ত বিস্তৃত।

শক্তিশালী কেইউ ও সি ব্যান্ডের মাধ্যমে এটি সবচেয়ে ভালো কাভার করবে পুরো বাংলাদেশ, সার্কভুক্ত দেশসমূহ, ফিলিপাইন এবং ইন্দোনেশিয়া।

#স্থায়িত্ব:

১৫ বছরের জন্য রাশিয়ার কাছ থেকে অরবিটাল স্লট কেনা হয়েছে। তবে বিএস ওয়ানের স্থায়িত্ব হতে পারে ১৮ বছর পর্যন্ত।

#স্যাটেলাইট_নির্মাণ:

৩.৭ টন ওজনের বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটটির ডিজাইন এবং তৈরি করেছে ফ্রান্সের কোম্পানি থ্যালাস অ্যালেনিয়া স্পেস। আর যে রকেট এটাকে মহাকাশে নিয়ে যাচ্ছে সেটি বানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের স্পেসএক্স।

#উৎক্ষেপণ_হচ্ছে_ফ্লোরিডার_লঞ্চপ্যাড_থেকে

#বিএস-ওয়ানের খরচ:

শুরুতে বাজেট ধরা হয় ২৯৬৭.৯৫ কোটি টাকা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ২৭৬৫ কোটি টাকায় এ পুরো প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হল। এর মধ্যে ১৩১৫ কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার আর বাকিটা বিদেশি অর্থায়ন।

#স্যাটেলাইট_অপারেশন:

আর্থ স্টেশন থেকে ৩৫ হাজার ৭৮৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে স্যাটেলাইটটির কক্ষপথে যেতে সময় লাগবে ৮-১১ দিন। আর পুরোপুরি কাজের জন্য প্রস্তুত হবে ৩ মাসের মধ্যে।

এরপর প্রথম ৩ বছর থ্যালাস অ্যালেনিয়ার সহায়তায় এটির দেখভাল করবে বাংলাদেশ। পরে পুরোপুরি বাংলাদেশী প্রকৌশলীদের হাতেই গাজীপুর ও রাঙামাটির বেতবুনিয়া আর্থ স্টেশন থেকে নিয়ন্ত্রিত হবে এটি।
 তথ্য সূত্র:-বিবিসি বাংলা এবং ইত্তেফাক।

Monday, May 7, 2018

১০ই মে উৎক্ষেপন করা হবে বঞ্জবন্ধু সেটেলাইট-১

কয়েক দফা তারিখ পরিবর্তনের পর ১০ মে মহাকাশে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম যোগাযোগ স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১। ওই দিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল লঞ্চ প্যাড থেকে স্থানীয় সময় বিকেল চারটায় এটি উৎক্ষেপণ করা হবে। বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণের সময় ১১ মে দিবাগত রাত তিনটা।
স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী মার্কিন প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্সের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বিটিআরসির জনসংযোগ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন খান প্রথম আলোকে বলেন, স্পেস এক্স থেকে ১০ মে তারিখ নিশ্চিত করে বিটিআরসিকে বার্তা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত এটি বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের সর্বশেষ তারিখ।
এর আগে গত শুক্রবার স্পেস এক্স বঙ্গবন্ধু-১–এর রকেটের প্রাক্‌-উৎক্ষেপণ পরীক্ষা (ফায়ার স্ট্যাটিক টেস্ট) চালায়। এ পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার বিষয়টি জানিয়ে গত শনিবার টুইটারে একটি বিবৃতি দেয় স্পেস এক্স।
বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের মূল অবকাঠামো তৈরি করেছে ফ্রান্সের থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস। গত ৩০ মার্চ একটি বিশেষ উড়োজাহাজে করে ফ্রান্স থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল লঞ্চ প্যাডে স্যাটেলাইটটি পৌঁছায়।
অবঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট খরচ হচ্ছে ২ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে বহুজাতিক ব্যাংক এইচএসবিসি। বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগের জন্য তৈরি এ স্যাটেলাইটের মোট ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে। এর মধ্যে ২০টি ট্রান্সপন্ডার বাংলাদেশের জন্য আর বাকি ২০টি বিদেশি কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রির জন্য রাখা হবে। সফলভাবে মহাকাশে গেলে বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিক হবে বাংলাদেশ। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের অবস্থান হবে ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে।
তথ্য সূত্র:- প্রথম আলো

Saturday, May 5, 2018

পৃথিবীর প্রতিবিম্ব

আয়নায় আমরা প্রতিদিনই নিজেদের প্রতিবিম্ব দেখি। কিন্তু যদি পৃথিবীর প্রতিবিম্ব বা প্রতিচ্ছবির কথা বলা হয়? আজব হলেও সত্য বলিভিয়ার 'salar de uyuni ' নামক স্থানটিতে এই জিনিসিটাই দেখতে পাওয়া যায় ।এটি মূলত salt flat বা লবনের আস্তরনযুক্ত বিশাল এক এলাকা। আয়তন প্রায় ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার বলিভিয়ার দক্ষিনে এর অবস্থান। অনেকগুলো হ্রদ রুপান্তরিত হয়ে এর সৃষ্টি। সাদা লবনের আবরনযুক্ত দীর্ঘ এলাকাটি কাচের মত স্বচ্ছ। ফলে কেউ পায়ের দিকে তাকালেই নিচে পৃথিবীর প্রতিচ্ছবি দেখতে পায় । একি সাথে নিজেরো। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এইই স্থানটির উচ্চতা সবচেয়ে বেশি পৃথিবীতে। তাই বলা যায় আকাশের খুব কাছে এর অবস্থান। সাদা লবন এর সাথে পাওয়া যায় বিভিন্ন খনিজ এবং প্রচুর লিথিয়াম। লিথিয়াম নিষ্কাশন প্রকৃয়াটি চলমান রয়েছে। বিস্তৃত দিগন্ত, পায়ের নিচে পৃথিবীর সব রুপ, খোলা আকাশের মেঘের ভেলা, গোলাপী ফ্ল্যামিঙ্গো পাখি, সবকিছুই এ স্থানটিকে করে তুলেছে অন্যরকম সুন্দর। বলিভিয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থায় এ স্থানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। এবং সবসময়ই এটি টুরিস্টদের পছন্দের জায়গা হিসেবে পরিচিতি পেয়ে আসছে।

Like Our Page:-অজানা কিছু । 

Saturday, April 28, 2018

আজব গাছ!!!!!


আজব গাছ!!!!!

বাওবাব গাছ Adansonia গণের
অন্তর্ভুক্ত। এই গাছ মূলত
পাওয়া যায় শুষ্কভূমিতে। বিশেষত
আফ্রিকা এবং আরবের মরু
অঞ্চলের বৃক্ষহীন তৃণভূমিতে এই
গাছ দেখা যায়। আফ্রিকা, আরব
এবং অস্ট্রেলিয়া এর আদি
নিবাস।
বৈশিষ্ট্য
এই গাছের মূল বৈশিষ্ট্য হচ্ছে
গাছটি একহারা গড়নের। মাটি
থেকে বিশাল আকারের কাণ্ড
লম্বা হয়ে সোজা উপরের দিকে উঠে
গেছে। একেবারে মাথায়
ঝোপঝাড়ের মতো কিছু ডালপালা
ছড়ানো আছে। দেখে মনে হয়
ছাতার মতো। তবে পাতাগুলো
এমন যে দূর থেকে দেখে কেউ ভুল করে
ভাবতে পারে গোড়া থেকে
গাছটিকে উপড়ে নিয়ে মাথার
দিকটা মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে
এবং গাছের শিকড়বাকড়গুলো
উপরের দিকে ছড়ানো। তবে বছরের
বারো মাসের মধ্যে নয় মাসই এই
গাছে কোনো পাতা থাকে না।
পত্রমোচী বাওবাব শিমুল গোত্রীয়,
তাই পাতা তদ্রূপ। শীতে পাতা
ঝরে যায় তখন একে অনেকটা মরা
গাছের মতো দেখায়।গ্রীষ্মের শেষে
নতুন পাতা জন্মায়। এই গাছ
উচ্চতায় প্রায় ৭৫ ফুট লম্বা হয়।
মরু অঞ্চলের গাছ বলে খুব কম
পানিতেই এর প্রয়োজন মিটে যায়।
বর্ষাকালে এই গাছ তার দীর্ঘ
কাণ্ডের মধ্যে পানি জমিয়ে রাখে।
সবচেয়ে অবাক বিষয় হলো, এই গাছ
কয়েক হাজার বছর বেঁচে থাকে।
উপকারিতা
বাওবাব গাছ মরু অঞ্চলের
মানুষের অনেক উপকারে আসে। এই
গাছের প্রতিটি অংশই মানুষের
সরাসরি কাজে আসে। গাছের
বাকল দিয়ে পোশাক ও শক্ত দড়ি
তৈরি হয়। এই গাছের ফল খাওয়া
যায় এবং পাতা থেকে চাটনি
তৈরি করা যায়। এছাড়া এই
গাছের পাতা থেকে বিভিন্ন ধরনের
ওষুধও তৈরি হয়। গাছের কাণ্ড
এতো বিশাল যে, এর গুড়ির গর্তে
মানুষ বসবাস করতে পারে। মরু
ঝড়ে মানুষ এই গাছের গুড়ির গর্তে
আশ্রয় নিয়ে থাকে।
Vist Our Page for more:-অজানা কিছু
 

Dark Net (ডার্ক নেট কি) (Part-2)

যারা কম্পিউটারে ব্যাবহার করে থেকে তারা হয়ত বা Kali Linux সম্পর্কে শুনে থাকবেন। বেশিরভাগ মানুষ যারা এ সম্পর্কে শুনেছেন তারা ভাবে এটি একটি হ্যাকিং টুল যা ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকাররা কারো ইনফরমেশন হ্যাক করতে ব্যাবহার করে। আসলে এটি কোনো খারাপ টুল না বরং এটি উইন্ডোজ xp বা 7 বা 8 অথবা 10 এর মত এক প্রকার
অপারেটিং সিস্টেম যা কম্পিউটারে ব্যাবহার হয়ে থাকে। মাটি আহার্নি,ডেভান কেয়ার্ন্স এবং রাফায়েল হার্টজগ ছিলেন এর প্রধান ডেভেলপার। এটি পরিচালনা ও অর্থদান করে “অফেন্সিভ সিকিউরিটি লিমিটেড।” এটি কম্পিউটারের পাশাপাশি এন্ড্রয়েডে ব্যাবহার করা যায়। লিনাক্স নেটহান্টার সাহায্যে কালি লিনাক্স কিছু এনড্রয়েড ডিভাইসেও চালানো যায়। কালি ব্যাবহারকারীদের কমিউনিটি ও অফেন্সিভ সিকিউরিটি সিস্টেমের যৌথ উদ্যোগে নেটহান্টার তৈরি হয়েছে।
কালি লিনাক্স শুধুমাত্র হ্যাকারদের জন্যই তৈরি কারন এখানে কিছু বিশেষ টুল’স রয়েছে যার সাহায্যে তারা কোডিং
 অর্থাৎ কমানন্ডের সাহায্যে কোনো ওয়েবসাইটের দূর্বল দিকগুলো বের করতে পারে যেখান থেকে তাদের (ওয়েবসাইটকে) হ্যাক করা যেতে পারে । এর একটি ভালো ব্যাবহার আছে আর এক খারাপ ব্যাবহার আছে। ভালো ব্যাবহার হল আপনি আপনার ওয়েবসাইটে বা অন্যের ওয়েবসাইটের দূর্বল দিকগুলো ধরে তাদেরকে বলতে পারেন যে এখান থেকে তারা হ্যাক হতে পারে। আর খারাপ ব্যাবহার আপনি অন্যের ওয়েবসাইট হ্যাক করতে পারেন এবং তাদের ইনফরমেশন লিক করতে পারেন ইত্যাদি।

নরমাল উইন্ডোজে কিছু সিম্পল টুল’স থাকে যেমন পেইন্ট, ক্যাললকুলেটর বা ওয়ার্ডপ্যাড ইত্যাদি। এই সকল টুল’স থাকার কারন আমরা উইন্ডোজ ঘরে বা অফিসে সাধারন কাজে ব্যাবহার করি। কিন্তু kail linux এ কি কি থাকে? কিসের মাধ্যমে হ্যাক করা যায়? এখানে অবশ্যই কিছু বিশেষ সফটওয়্যার থাকে। এখানে তো আর নোটপ্যাড থাকবে না কারন হ্যকাদের নোটপ্যাড লাগে না, তারা কমান্ডিং এর মাধ্যমে তাদের কাজ করে থাকে। এখানে বিভিন্ন হ্যাকিং টুল, ব্রুইফোর্স আ্যাটাক করা যায় অথবা কারোর পাসওয়ার্ড দিয়ে কিছু করা ইত্যাদি টুল ‘স থাকে। এ সম্পর্কে কেউ বেশি কিছু বলে না কারন এর ফলে বিভিন্ন ক্রাইম হতে পারে।
কোন হ্যাকার যেন বেশি কষ্ট না করতে হয় তার জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয় টুল’স এখানে বিল্ড ইন থাকে। kali Linux ইন্সটল করার পর এডভান্স হ্যাকিং শুরু করা যায়। অবশ্য উইন্ডোজেও হ্যাকিং করা যায় কিন্তু সেখানে বেশ কষ্ট হয়ে পরবে। উইন্ডোজে হ্যাকিং করতে হলে নিজে থেকে সফটওয়্যার বানিয়ে হ্যাক করতে হয়। অপরদিকে Kali Linux এ এসকল আপ্লিকেশন আগে থেকে থাকে যা ইথিকাল হ্যাকার কমিউনিটি বা লিনাক্স থেকে তৈরি। আরো যারা এডভান্সড তারা তাদের কাজের জন্য আরো কিছু সফটওয়্যার ব্যাববহার করে থাকে।
Kali Linux অপারেটিং সিস্টেম আপনি ফ্রি ডাউনলোড করতে পারবেন। অবশ্যই লাপটপ বা কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়।

আমরা শুনি থাকি kali Linux এটা,সেটা আরো কত কি। মূলত এটি একটি অপারেটিং সিস্টেম যা শুধু মাত্র হ্যাকারা ব্যবহার করে থাকে।
>এখন আসি Kali Linux এ কী কী সফটওয়্যার দেখতে পাই এবং এর কাজগুলো কী?
>আর এডভান্স হ্যাকিং এর ক্ষেত্রে এরা কেমন ভূমিকা রাখে?

*আমরা আপ্লিকেশনসে (মেনু) ক্লিক করলে দেখতে পারব। আমরা যে সকল আপ্লিকেশন দেখতে পারব তা কোনো গ্রাফিকাল আ্যাপ না। কালি লিনাক্সের প্রায় সকল আ্যাপ-ই কমান্ড ফ্রম সিস্টেমেই দেখা যায়। এখানে বেশি ছবি দেখতে পারব না। সব কিছু কমান্ড ল্যাংগুয়েজে দেখতে পারব।
১.information gathering- এই ক্যাটাগরির কিছু আ্যাপ আছে। এর সাহায্যে যেকোনো ওয়েবসাইট বা সারবারের ইনফরমেশন জানতে পারব।
2.Vulnerabilities analysis- এই ক্যাটাগরির ৮ টি আ্যাপ আছে। এর সাহায্যে যেকোনো ওয়েবসাইট বা সারবারের দূর্বল দিক বের করা যায়।
৩.web application analysis- এই ক্যাটাগরির ৯ টি আ্যাপ আছে। এর সাহায্যে যেকোনো web application এর সিকিউরিটির বিশ্লেষণ করা যায়। যেমন ওয়ার্ডপ্রেস বা জুমলা ইত্যাদি।

৪.detabase assessment- এই ক্যাটাগরির ১০ টি আ্যাপ আছে। এর সাহায্যে যেকোনো ওয়েবসাইট বা সারবারের ডেটা বেস রিলেটেড কাজ করে থাকে। স্ক্যান বা ইনফরমেশন নেওয়া যায়
৫.password attack – নাম দেখে সবাই হয়ত বুঝেই গিয়েছেন এটার কি কাজ। এটা অবশ্যই illegal আ্যাপ। আমি শুধু মাত্র আপনাদের শেখার জন্য জানাচ্ছি। এই আ্যাপের সাহায্যে অন্যের পাসওয়ার্ডের উপর আ্যাটাক করা যায়।
৬.wireless attack -একি ওয়াই ফাই এ সংযুক্ত থাকলে আ্যাটাক।
৭.reverse engineering – এক অপারেশন করার মধ্য অন্য দিক কি রি-আ্যাকশন হয় তা দেখা। এটি এডভান্স ফিচার।
৮.sniffing &spoofing – বিভিন্নভাবে ধোকা দেওয়ার সিস্টেম।
৯.forensic – এটার মাধ্যমে কারো কম্পিউটারের উপর নজর রাখা যায়। এটা শুধুমাত্র হাই লেভেলের হ্যাকাররাই পারে।
*এছাড়া আরো কিছু টুল’স থাকে।
বি:দ্র: আমি শুধু মাত্র শেখার জন্য লেখেছি। কেউ দয়াকরে অসৎ কজে জন্য উৎসাহী হবেন না। যদি শিখতে চান ন্যশনাল সিকিউরিটির জন্য শিখতে পারে। আর সবথেকে বড় কথা ইথাইকাল হ্যাকিং সবক্ষেত্রে সম্মানের।
Visit Our Page:-অজানা কিছু

About Dark Net(ডার্ক নেট কি?) (Part-1)


ডার্ক নেট কি?

ডার্ক নেট হচ্ছে ইন্টারনেট এর এমন সব তথ্য বা সাইট যা সাধারণ সার্চ ইঞ্জিন যেমন গুগল, ইয়াহু, বিং এগুলোতে ইনডেক্স করা হয় না। ফলে স্বাভাবিক নিয়মে তা খুঁজেও পাওয়া যায় না। অবৈধ, অন্যায় , নিষিদ্ধ কাজের এক গোপন জগত হচ্ছে ডার্ক নেট। কিন্তু, ডার্ক নেটের সবচেয়ে রহস্যময় স্তর সম্পর্কে জানেন কি?

ডার্ক নেট এ কিন্তু অনেক গুলো ধাপ রয়েছে। অর্থাৎ, এটি অনেকটা পিয়াজের মত। আপনি যদি একটি পিয়াজ কাটতে যান তবে দেখবেন পিয়াজটিতে অনেক গুলো লেয়ার একটির পর একটি সাজানো। ডার্ক ওয়েবেও রয়েছে অনেক গুলো লেয়ার। উপরের লেয়ার গুলোতে কিছুটা প্রবেশ করা সম্ভব। কিন্তু লেয়ার যত নিচের দিকে আসতে থাকে ততই তার প্রবেশ হয়ে উঠে কঠিন।আর, ডার্ক ওয়েবের সবচেয়ে গভীরতম লেয়ার টিকেই বলা হয় ‘মারিয়ানাস ওয়েব’।
ইন্টারনেট এর যে পাঁচটি লেভেল আছে তার মধ্যে মারিয়ানাস ওয়েব হচ্ছে সবচেয়ে গভীরতম জায়গা। ১ ও২ নম্বর লেভেল হচ্ছে সার্ফেস ওয়েব। যা আমরা সবাই ব্যবহার করতে পারি। ৩ ও ৪ নম্বর লেভেল হচ্ছে ডিপ ওয়েব ও ডার্ক ওয়েব। এবং সর্বশেষ অর্থাৎ ৫ নম্বর লেভেল হচ্ছে মারিয়ানাস ওয়েব।
আজকে আমরা আলোচনা করব ‘মারিয়ানাস ওয়েব’ নিয়ে ।

মারিয়ানাস ওয়েব বা Marianas Web কি?
কেন এই গভীরতম লেয়ারটির নামকরণ করা হয়েছে মারিয়ানাস ওয়েব? আপনি হয়তো জানেন, পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের সবচেয়ে গভীরতম জায়গার নাম হচ্ছে মারিয়ানা ট্রেঞ্চ।সে হিসেবে পৃথিবীর গভীরতম জায়গা হচ্ছে মারিয়ানা ট্রেঞ্চ। এই জায়গাটি এত গভীর যে এর নিচে কি আছে তা বিজ্ঞানীদের কাছে এখনও অজানা। এই বৈশিষ্ট্য র কারণেই ওয়েবের এই গভীরতম জায়গাটির নাম করন করা হয়েছে মারিয়ানা ওয়েব বা ‘Marianas web’।
পৃথিবীর গভীরতম জায়গা ঃ মারিয়ানা ট্রেঞ্চ
যেখানে, ডার্ক নেট জগত টাতে সাধারণ মানুষের প্রবেশ করা কঠিন। শুধু মাত্র হ্যাকার বা ওয়েব ঠিকানা জানে এমন ব্যক্তিরাই প্রবেশ করতে পারে ডার্ক নেটে । সেখানে বুঝতেই পারছেন মারিয়ানাস ওয়েব জায়গাটিতে প্রবেশ কতটা কঠিন! সাধারণ হ্যাকাররাও এখানে প্রবেশ করতে পারে না। অনেক উঁচু লেভেল অপরাধী এবং ইলিউমিনিদের চলাফেরা এই জগতে।ধরা যায় পৃথিবীর খুব অল্প সংখ্যক মানুষই পারে এই ‘মারিয়ানাস ওয়েব ‘ ব্যবহার করতে।
এই ওয়েবের সাইটগুলোতে ঢুকতে হলে শুধু মাত্র এগুলোর ওয়েব ঠিকানা গুলো জানলেই চলবে না। সেখানে আপনার একসেস পারমিশন ও থাকতে হবে। অর্থাৎ এসকল ইউজার কে একটা key দেওয়া হয়। এই key এবং পারমিশন থাকলেই একমাত্র এই সাইটগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।

কি আছে মারিয়ানাস ওয়েবে?
-মারিয়ানাস ওয়েবে আছে বিভিন্ন দেশের সরকারের টপ সিক্রেট ইনফরমেশন। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে সরকার এই গোপন জায়গায় কি করে? এখানে সরকারের উঁচু লেভেল এর গোয়েন্দা, মিলিটারি তথ্য থাকে যা খুবই গোপনীয়। দেশের স্বার্থে এগুলো গোপন রাখা খুবই প্রয়োজন। আর মনে রাখবেন বিভিন্ন দেশের সরকার ও কিন্তু এমন কিছু মানবতা বিরোধী কাজ করে যা তারা চায় না পৃথিবী তা জানুক। যেমন অস্ত্র বিক্রয়, অবৈধ চুক্তি, অন্য দেশের উপর নজরদার রাখা, দেশে দেশে সংঘাত সৃষ্টি এছাড়াও এমন অনেক ষড়যন্ত্র মূলক কাজ যা জানলে মানবতার কথা বলা দেশ গুলো সম্পর্কে আপনার ধারনাই বদলে যাবে।এমন অনেক গোপনীয় দলিল, চুক্তির তথ্য রয়েছে এই মারিয়ানাস ওয়েবে। এছাড়া বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন গুলোর মধ্যে বা বিভিন্ন দেশের সাথে জঙ্গি সংগঠন গুলোর যোগাযোগ হয় এখানে
২.ইলিউমিনিদের কাজকর্ম ও যোগাযোগের জায়গা
আপনি কি পৃথিবী র সবচেয়ে সিক্রেট সোসাইটি সম্পর্কে জানেন? এই সোসাইটির নাম হচ্ছে Illuminati. যারা গোপনে নিয়ন্ত্রণ করছে পুরো পৃথিবী। বিশেষ করে ব্যাংক এবং মিডিয়া। তাদের উদ্দেশ্যই হচ্ছে সমগ্র পৃথিবীকে নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে আসা। পরবর্তী পর্বে ইলিউমিনি দের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। এরা এতটাই গোপন যে এদের সদস্যরা কখনই নিজেদের প্রকাশ্যে পরিচয় দেয় না। এরা ব্যবহার করে অনেক উঁচু লেভেল এর প্রযুক্তি। এই সোসাইটির সদস্য রা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে এই মারিয়ানাস ওয়েবে। অর্থাৎ তাদের নেটওয়ার্ক টি এতই শক্তিশালী এবং গোপন যে তা খুঁজে পাওয়া এক প্রকার অসম্ভব। তাদের কাছে আছে পৃথিবীর প্রাচীনতম ইতিহাস, রহস্যময় ঘটনা এবং গোপন ষড়যন্ত্র সমূহ।

৩.মানুষের উপর গোপন গবেষণা এবং তার ডাটাবেস
বলা হয়ে থাকে পৃথিবীর লোকচক্ষুর আড়ালে জীবিত মানুষের উপর অমানবিক গবেষণাগুলো করা এখানে। এসকল গোপন গবেষণার তথ্যগুলো ডাটাবেস আকারে মজুদ করা আছে মারিয়ানা ওয়েব এ।
৪. আটলান্টিস দ্বীপের গোপন তথ্য
মানব ইতিহাসের এক রহস্যের নাম হচ্ছে আটলান্টিস দ্বীপ।বলা হয় খুব প্রাচীনকালে এক উন্নত শহর ছিল আটলান্টিস। সবচেয়ে গোপন বিষয় হচ্ছে তারা প্রযুক্তিগত দিকে এমন কিছু আবিষ্কার করেছিল যা বর্তমান আবিষ্কারকেও হার মানায় । অনেকে বলে এটা শুধুই কল্পনা। আবার অনেকে বলে ইচ্ছে করেই এই উন্নত জাতিটির তথ্য পৃথিবীর কাছে গোপন রাখা হয়েছে। যেসকল তথ্য হয়ত মানবতার ইতিহাসই বদলে দিবে। খুব গোপনে এই দ্বীপে গবেষণা চালান হচ্ছে, যার তথ্য মজুদ করা আছে মারিয়ানাস ওয়েবে।
মারিয়ানা ওয়েব কি হ্যাক করা সম্ভব?

বলা হয়ে থাকে মারিয়ানা ওয়েবের সাইটগুলো ব্রেক করা বা হ্যাক করা একধরনের অসাধ্য কাজ। এর সিকিউরিটি হচ্ছে ইম্পেরিটিবল।
সাধারণ মোবাইল, কম্পিউটার বা ল্যাপটপ দিয়ে এটি হ্যাক করা সম্ভব নয়। এই সাইটগুলো হ্যাক করতে একজন হ্যাকারের প্রয়োজন হবে কোয়ান্টাম কম্পিউটার। কোয়ান্টাম কম্পিউটার হচ্ছে এক ধরনের সুপার কম্পিউটার। বলা হয়ে থাকে এই কম্পিউটার গুলো এতই শক্তিশালী যে এরকম চারটা কম্পিউটার দিয়ে আমেরিকাকে লিড করা যাবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন সাধারণ মানুষ দূরে থাক অনেক দেশের পক্ষেও অসম্ভব এই গোপন জায়গায় প্রবেশ করা।
মারিয়ানাস ওয়েব সম্পর্কে কোন অফিসিয়াল তথ্য কোথাও পাওয়া যায় না। তাই বলে বলা যাবে না এর কোন অস্তিত্ব নেই। কারণ বড় বড় দেশ, গোপন সংস্থা বা অপরাধী প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের সাধারণ জনগণের চোখের আড়ালে নেয় অনেক মানব বিধ্বংসী সিদ্ধান্ত , গোপন চুক্তি, এমন কি করে অনেক অমানবিক গবেষণা। লোকচক্ষুর আড়ালে আছে অনেক সিক্রেট সোসাইটি, আছে অনেক গোপন ষড়যন্ত্র।লুকিয়ে রাখা হয়েছে প্রাচীন ঐতিহাসিক তথ্য। হয়ত একদিন সব প্রকাশ পাবে ।তবে ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে পৃথিবীর মানুষকে।
(চলবে)

Tuesday, April 24, 2018

বিস্ময়ে ভরা প্রকৃতি (Part-1)

বিস্ময়ে ভরা প্রকৃতি(Part-1)

আসসালামু আলাইকুম 

আশা করি সকলে আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আজকে আপনাদের সাথে আমাদের প্রকৃতিতে, আমাদের চারপাশে বিদ্যমান বিভিন্ন বিস্ময়কর বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করবো। আমাদের চারপাশে যে সকল বস্তু আমাদের ঘিরে রয়েছে এগুলোর মধ্য অনেক কিছুই আমাদের দেখা হয়না। তাই অনেক সময় এগুলো দেখে আমরা মুগ্ধ হই, বিস্মিত হই। আবার আমাদের চারপাশে অনেক সময় এমন সব বিচিত্র ঘটনা ঘটে যার কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায়না। আজ এমনি একটি ঘটনা সম্পর্কে আপনাদের বলবো।

নিজে নিজেই চলাচল করতে পারে যে পাথর

পাথরের মতো ভারি বস্তু আমরা নারাতেই সাহস পাই না। আর সেই পাথর কিনা নিজে নিজেই চলতে পারে। ডেথ ভ্যালির এক মরুভুমির বুকে এমনি এক ঘটনা ঘটে গেছে। এমনকি পাথরটি যে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে চলে গেছে তার দাগও পাওয়া গেছে মরুভুমির মাটির বুকে। এখন সকলের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে যে এ কি করে সম্ভব? পাথরের কি পা আছে? জীবন আছে? তা না হলে সমতল ভুমির বুকে পাথর চলে কি করে? এ বিষয়ে বিজ্ঞানীরা কয়েক দশক ধরে নানা মতবাদ পেশ করে আসছেন। প্রায় ৫০ কেজি ওজনের এক একটা পাথর নিজে নিজেই প্রায় ১০০ মিটার চলতে পারে।
কোন কোন বিজ্ঞানী বলেন প্রচন্ড বায়ু প্রবাহ ও বরফের সম্মিলিত প্রভাবে এমনটি ঘটতে পারে। কিন্তু তা হলে পাথরগুলো এদিকে ওদিকে না গিয়ে একদিকে এবং প্রায় একই গতিতে যায় কেন? তাছাড়া এতো ভারী ভারী পাথর কি বাতাসের ধাক্কায় এতো দূর যেতে পারে? এওকি সম্ভব?? পদার্থবিদদের মতে ছটো খাটো একটি পাথর নারাতে বাতাসের গতিবেগ দরকার প্রায় ১৫০-১৬০ কিঃমিঃ প্রতি ঘণ্টায়। তাহলে পা না থাকলে কিভাবে এই পাথর গুলো বিশ্ব ভ্রমনে বের হয়? সত্যিই এই ঘটনা খুবি রহস্যজনক। 
মানুষেরা তাই এইসব পাথরের নাম দিয়েছেন সেইলিং স্টোন(Sailing Stone)।
Visit Our Page:- অজানা কিছু

Tuesday, February 27, 2018

New Bangla Funny Drama 2018_Mustakim Fuad

ads

Ads