coinpayu

Saturday, April 28, 2018

About Dark Net(ডার্ক নেট কি?) (Part-1)


ডার্ক নেট কি?

ডার্ক নেট হচ্ছে ইন্টারনেট এর এমন সব তথ্য বা সাইট যা সাধারণ সার্চ ইঞ্জিন যেমন গুগল, ইয়াহু, বিং এগুলোতে ইনডেক্স করা হয় না। ফলে স্বাভাবিক নিয়মে তা খুঁজেও পাওয়া যায় না। অবৈধ, অন্যায় , নিষিদ্ধ কাজের এক গোপন জগত হচ্ছে ডার্ক নেট। কিন্তু, ডার্ক নেটের সবচেয়ে রহস্যময় স্তর সম্পর্কে জানেন কি?

ডার্ক নেট এ কিন্তু অনেক গুলো ধাপ রয়েছে। অর্থাৎ, এটি অনেকটা পিয়াজের মত। আপনি যদি একটি পিয়াজ কাটতে যান তবে দেখবেন পিয়াজটিতে অনেক গুলো লেয়ার একটির পর একটি সাজানো। ডার্ক ওয়েবেও রয়েছে অনেক গুলো লেয়ার। উপরের লেয়ার গুলোতে কিছুটা প্রবেশ করা সম্ভব। কিন্তু লেয়ার যত নিচের দিকে আসতে থাকে ততই তার প্রবেশ হয়ে উঠে কঠিন।আর, ডার্ক ওয়েবের সবচেয়ে গভীরতম লেয়ার টিকেই বলা হয় ‘মারিয়ানাস ওয়েব’।
ইন্টারনেট এর যে পাঁচটি লেভেল আছে তার মধ্যে মারিয়ানাস ওয়েব হচ্ছে সবচেয়ে গভীরতম জায়গা। ১ ও২ নম্বর লেভেল হচ্ছে সার্ফেস ওয়েব। যা আমরা সবাই ব্যবহার করতে পারি। ৩ ও ৪ নম্বর লেভেল হচ্ছে ডিপ ওয়েব ও ডার্ক ওয়েব। এবং সর্বশেষ অর্থাৎ ৫ নম্বর লেভেল হচ্ছে মারিয়ানাস ওয়েব।
আজকে আমরা আলোচনা করব ‘মারিয়ানাস ওয়েব’ নিয়ে ।

মারিয়ানাস ওয়েব বা Marianas Web কি?
কেন এই গভীরতম লেয়ারটির নামকরণ করা হয়েছে মারিয়ানাস ওয়েব? আপনি হয়তো জানেন, পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের সবচেয়ে গভীরতম জায়গার নাম হচ্ছে মারিয়ানা ট্রেঞ্চ।সে হিসেবে পৃথিবীর গভীরতম জায়গা হচ্ছে মারিয়ানা ট্রেঞ্চ। এই জায়গাটি এত গভীর যে এর নিচে কি আছে তা বিজ্ঞানীদের কাছে এখনও অজানা। এই বৈশিষ্ট্য র কারণেই ওয়েবের এই গভীরতম জায়গাটির নাম করন করা হয়েছে মারিয়ানা ওয়েব বা ‘Marianas web’।
পৃথিবীর গভীরতম জায়গা ঃ মারিয়ানা ট্রেঞ্চ
যেখানে, ডার্ক নেট জগত টাতে সাধারণ মানুষের প্রবেশ করা কঠিন। শুধু মাত্র হ্যাকার বা ওয়েব ঠিকানা জানে এমন ব্যক্তিরাই প্রবেশ করতে পারে ডার্ক নেটে । সেখানে বুঝতেই পারছেন মারিয়ানাস ওয়েব জায়গাটিতে প্রবেশ কতটা কঠিন! সাধারণ হ্যাকাররাও এখানে প্রবেশ করতে পারে না। অনেক উঁচু লেভেল অপরাধী এবং ইলিউমিনিদের চলাফেরা এই জগতে।ধরা যায় পৃথিবীর খুব অল্প সংখ্যক মানুষই পারে এই ‘মারিয়ানাস ওয়েব ‘ ব্যবহার করতে।
এই ওয়েবের সাইটগুলোতে ঢুকতে হলে শুধু মাত্র এগুলোর ওয়েব ঠিকানা গুলো জানলেই চলবে না। সেখানে আপনার একসেস পারমিশন ও থাকতে হবে। অর্থাৎ এসকল ইউজার কে একটা key দেওয়া হয়। এই key এবং পারমিশন থাকলেই একমাত্র এই সাইটগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।

কি আছে মারিয়ানাস ওয়েবে?
-মারিয়ানাস ওয়েবে আছে বিভিন্ন দেশের সরকারের টপ সিক্রেট ইনফরমেশন। এখন আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে সরকার এই গোপন জায়গায় কি করে? এখানে সরকারের উঁচু লেভেল এর গোয়েন্দা, মিলিটারি তথ্য থাকে যা খুবই গোপনীয়। দেশের স্বার্থে এগুলো গোপন রাখা খুবই প্রয়োজন। আর মনে রাখবেন বিভিন্ন দেশের সরকার ও কিন্তু এমন কিছু মানবতা বিরোধী কাজ করে যা তারা চায় না পৃথিবী তা জানুক। যেমন অস্ত্র বিক্রয়, অবৈধ চুক্তি, অন্য দেশের উপর নজরদার রাখা, দেশে দেশে সংঘাত সৃষ্টি এছাড়াও এমন অনেক ষড়যন্ত্র মূলক কাজ যা জানলে মানবতার কথা বলা দেশ গুলো সম্পর্কে আপনার ধারনাই বদলে যাবে।এমন অনেক গোপনীয় দলিল, চুক্তির তথ্য রয়েছে এই মারিয়ানাস ওয়েবে। এছাড়া বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন গুলোর মধ্যে বা বিভিন্ন দেশের সাথে জঙ্গি সংগঠন গুলোর যোগাযোগ হয় এখানে
২.ইলিউমিনিদের কাজকর্ম ও যোগাযোগের জায়গা
আপনি কি পৃথিবী র সবচেয়ে সিক্রেট সোসাইটি সম্পর্কে জানেন? এই সোসাইটির নাম হচ্ছে Illuminati. যারা গোপনে নিয়ন্ত্রণ করছে পুরো পৃথিবী। বিশেষ করে ব্যাংক এবং মিডিয়া। তাদের উদ্দেশ্যই হচ্ছে সমগ্র পৃথিবীকে নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে আসা। পরবর্তী পর্বে ইলিউমিনি দের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। এরা এতটাই গোপন যে এদের সদস্যরা কখনই নিজেদের প্রকাশ্যে পরিচয় দেয় না। এরা ব্যবহার করে অনেক উঁচু লেভেল এর প্রযুক্তি। এই সোসাইটির সদস্য রা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে এই মারিয়ানাস ওয়েবে। অর্থাৎ তাদের নেটওয়ার্ক টি এতই শক্তিশালী এবং গোপন যে তা খুঁজে পাওয়া এক প্রকার অসম্ভব। তাদের কাছে আছে পৃথিবীর প্রাচীনতম ইতিহাস, রহস্যময় ঘটনা এবং গোপন ষড়যন্ত্র সমূহ।

৩.মানুষের উপর গোপন গবেষণা এবং তার ডাটাবেস
বলা হয়ে থাকে পৃথিবীর লোকচক্ষুর আড়ালে জীবিত মানুষের উপর অমানবিক গবেষণাগুলো করা এখানে। এসকল গোপন গবেষণার তথ্যগুলো ডাটাবেস আকারে মজুদ করা আছে মারিয়ানা ওয়েব এ।
৪. আটলান্টিস দ্বীপের গোপন তথ্য
মানব ইতিহাসের এক রহস্যের নাম হচ্ছে আটলান্টিস দ্বীপ।বলা হয় খুব প্রাচীনকালে এক উন্নত শহর ছিল আটলান্টিস। সবচেয়ে গোপন বিষয় হচ্ছে তারা প্রযুক্তিগত দিকে এমন কিছু আবিষ্কার করেছিল যা বর্তমান আবিষ্কারকেও হার মানায় । অনেকে বলে এটা শুধুই কল্পনা। আবার অনেকে বলে ইচ্ছে করেই এই উন্নত জাতিটির তথ্য পৃথিবীর কাছে গোপন রাখা হয়েছে। যেসকল তথ্য হয়ত মানবতার ইতিহাসই বদলে দিবে। খুব গোপনে এই দ্বীপে গবেষণা চালান হচ্ছে, যার তথ্য মজুদ করা আছে মারিয়ানাস ওয়েবে।
মারিয়ানা ওয়েব কি হ্যাক করা সম্ভব?

বলা হয়ে থাকে মারিয়ানা ওয়েবের সাইটগুলো ব্রেক করা বা হ্যাক করা একধরনের অসাধ্য কাজ। এর সিকিউরিটি হচ্ছে ইম্পেরিটিবল।
সাধারণ মোবাইল, কম্পিউটার বা ল্যাপটপ দিয়ে এটি হ্যাক করা সম্ভব নয়। এই সাইটগুলো হ্যাক করতে একজন হ্যাকারের প্রয়োজন হবে কোয়ান্টাম কম্পিউটার। কোয়ান্টাম কম্পিউটার হচ্ছে এক ধরনের সুপার কম্পিউটার। বলা হয়ে থাকে এই কম্পিউটার গুলো এতই শক্তিশালী যে এরকম চারটা কম্পিউটার দিয়ে আমেরিকাকে লিড করা যাবে। তাহলে বুঝতেই পারছেন সাধারণ মানুষ দূরে থাক অনেক দেশের পক্ষেও অসম্ভব এই গোপন জায়গায় প্রবেশ করা।
মারিয়ানাস ওয়েব সম্পর্কে কোন অফিসিয়াল তথ্য কোথাও পাওয়া যায় না। তাই বলে বলা যাবে না এর কোন অস্তিত্ব নেই। কারণ বড় বড় দেশ, গোপন সংস্থা বা অপরাধী প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের সাধারণ জনগণের চোখের আড়ালে নেয় অনেক মানব বিধ্বংসী সিদ্ধান্ত , গোপন চুক্তি, এমন কি করে অনেক অমানবিক গবেষণা। লোকচক্ষুর আড়ালে আছে অনেক সিক্রেট সোসাইটি, আছে অনেক গোপন ষড়যন্ত্র।লুকিয়ে রাখা হয়েছে প্রাচীন ঐতিহাসিক তথ্য। হয়ত একদিন সব প্রকাশ পাবে ।তবে ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে পৃথিবীর মানুষকে।
(চলবে)

No comments:

Post a Comment

ads

Ads