গোড়ালি শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। প্রতিনিয়ত দাঁড়াতে, হাঁটতে, দৌড়াতে ও উঠানামা করতে তা ব্যবহৃত হয়। এসব কাজে হঠাৎ গোড়ালি মচকে যেতে পারে। আর এভাবে হঠাৎ গোড়ালি মচকে গেলে যা করণীয় তা হলোঃ-
- গোড়ালিকে পুর্ণ বিশ্রামে রাখতে হবে।
- দু-তিন দিন পায়ে ভর না দিয়ে ত্রুয়াচ দিয়ে হাটতে পাড়েন।
- বরফের টুকরা টাওয়ালে জড়িয়ে বা ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি প্লাস্তিকের ব্যাগে নিয়ে মচকে যাওয়া স্থানে ধরে রাখলে ব্যাথা ও ফোলা কমে আসবে। ১০ মিনিট থেকে ২ ঘণ্টা পরপর ২০ মিনিট ধরে এই ব্যবস্থা নিতে পাড়েন। তবে এটি সহ্যের মধ্যে রাখতে হবে। এ পদ্ধতি আঘাতের ৪৮ ঘন্টা পর্যন্ত চলবে।
- ইলাসটিক সাপোর্ট বা অ্যাংলেট ব্যবহারে ফোলা ও ব্যথা কম হবে।
- আঘাতের ৪৮ ঘন্টা পর কুসুম গরম পানির সেক বা ঠান্ডা সেক ব্যবহারে ব্যাথা কম হবে।
- গোড়ালির স্বাভাবিক নড়াচড়া এবংপেশি শক্তিশালী হওয়ার ব্যায়াম করতে হবে।
- অনেক সময় দীর্ঘ মেয়াদি ইনজুরির ক্ষেত্রে ফিজিক্যাল থেরাপি প্রয়োজন হতে পারে।
- হাসপাতালের জরুরি বিভাগে উপস্থিত হলে বা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে শুরেতেই গোড়ালি মচকে যাওয়ার কারণ জানতে হবে। এরপর গোড়ালি পরিক্ষা করে মচকানোর তীব্রতা নির্ণয় করতে হবে। গোড়ালির এক্স-রে করতে হবে।
- অন্যান্য সমস্যা যেমন ফ্র্যাকচার ও জোড়ার দিসপ্লেসমেন্ট নির্ণয় করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে হবে- জাতীও পঙ্গু হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে।
No comments:
Post a Comment